শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ,এলাকায় উত্তেজনা,তদন্ত কমিটি গঠন

শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।।

যশোরের শার্শা উপজেলার ৩৩ নং আমলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ইকরামুল হোসেনের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রথম দিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও শিক্ষকদের মতবিরোধের কারনে তা প্রকাশ পেয়েযায়। এ নিয়ে এখন এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে গত ২৯ শে আগষ্ট  ৫ম শ্রেনীর জনৈক ছাত্রী বিদ্যালয়ের নিজস্ব কক্ষে প্রতিষ্ঠিত সততা ষ্টোরে মিষ্টি কিনতে গেলে দপ্তরী ইকরামুল হক তার শ্লীলতা হানী করে। মেয়েটি ঐসময়ই তার মাকে ঘটনাটি জানায়। তার বাবা বাড়ীতে না থাকায় বিষয়টি কোথাও অভিযোগ করনি তারা। এক পর্যায়ে গত ৩০ আগষ্ট মেয়েটি সহকারী শিক্ষিকা ইসমত আরাকে জানালে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিনুর রহমানকে বিস্তারিত বলেন। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ারপরে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক ষ্টাফ দপ্তরীকে ডেকে উক্ত ছাত্রীর নিকট মাফ চাইয়ে নেয়। এতে কিছু শিক্ষক বিরোধ করলে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় অন্যান্য ছাত্রী অভিভাবকরা চরম ক্ষুদ্ধ হয় এবং তারা বিচার দাবীকরে। স্থানীয়রা জানায় স্কুলের সততা ষ্টোরে মেয়েরা একাকী মিষ্টি আনতে গেলে প্রায় মেয়েদের সে যৌন নির্যাতন করে।লজ্জায় তারা মুখ খোলেনা। গ্রামবাসি অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুজ্জামান বুলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে উক্ত ছাত্রীর গায়ে হাতদেয়ার বিষয়টি আমাদের কানে আসলে তা নিয়ে আমরা স্কুলে বসে মিমাংসা করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষকদের মত বিরোধের কারনে সেটি এখন আন্দেলনে রুপ নিয়েছে। এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ পর্যন্ত পৌছেগেছে।

এ বিষয়ে গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ বলেন আমার কাছে এমন ধরনের একটি অভিযোগ এসেছে। আমি মেয়ের বাবাকে খবর দিয়েছি  তার কাছে শুনে সত্যমিথ্যা যাচাই করে একটা মিমাংসা করে দেব।

মেয়ের চাচা আঃ মমিন বলেন আমরা স্কুলের সভাপতির কাছে বিচার দিয়েছিলাম।তিনি বিচার না করার কারনে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কবিনুর রহমান বলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব ৩ সদস্যের একটি তদন্তটিম গঠন করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।তদন্তটিমে কারা আছেন তা তিনি বলতে পারেননি। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল লোকসমাজকে বলেন আমি পত্রিকার কাটিং দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি পাশাপশি ওসি সাহেবকেও লিখিত অভিযোগ নিতে বলেছি, তিনিও বিষয়টি দেখছেন। আমরা তাকে খুজছি। সে দোষী সাব্যাস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment